25 Nov 2024, 08:38 am

করোনা টেস্ট ফি’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনার সিভিল সার্জন ওএসডি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করোনা পরীক্ষা ফি’র ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। চার্জশিট দাখিলের পর ডা. সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডা. সুজাত আহমেদ ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী, ক্যাশিয়ার তপতী সরকার, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন এবং তৎকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করা খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও সিভিল সার্জন  ডা. সুজাত আহমেদ। ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বর্তমানে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

প্রজ্ঞাপনে সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি এবং আইএইচটি’র অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের জন্য তার চাকরি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে ন্যস্ত করার আদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া তাকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্যথায় ষষ্ঠ কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি বা স্ট্যান্ড রিলিজ মর্মে গণ্য হবেন। একই প্রজ্ঞাপনে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমানকে খুলনার নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

দুদক জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পাঠানো হতো। তবে ল্যাবে যে পরিমাণ নমুনা পাঠানো হতো তার থেকে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে টেস্টের ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ফি আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা। তবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা। বাকি ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ ঘটনায়  ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার তিনি সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে তারা এসব টাকা আত্মসাৎ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 14790
  • Total Visits: 1302624
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২২শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সকাল ৮:৩৮

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018